রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না। টেন্ডার আহ্বান না করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক অবসরে যাওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের নভেম্বরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করার জন্যে ১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দ পাওয়ার পরও টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি।
ওষুধ, গজ-ব্যান্ডেজ, রি-এজেন্ট (কেমিক্যাল), যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র খাতে এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করা হয়। প্রতিবছর শেষের দিকে টেন্ডার আহ্বান করা হয় এবং নতুন বছরের প্রথম দিকে টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়োগকৃত ঠিকাদার রোগীদের জন্য হাসপাতালে ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য মালামাল সরবরাহ করেন।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরে এমএসআর সামগ্রী ক্রয় বাবদ টেন্ডার আহ্বান না করার ফলে হাসপাতালে ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। শুধুমাত্র ইডিসিএল লিমিটেড (সরকারি প্রতিষ্টান) থেকে সরবরাহকৃত ওষুধ দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। এতে ওষুধ না পেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা গরিব-দুস্থ রোগীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ৪ জানুয়ারি চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় টেন্ডার আহ্বান করতে পারেননি। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অধিক সময়ের প্রয়োজন এবং সুনাম-দুর্নামের প্রশ্ন জড়িত থাকে। তাই অবসরে যাওয়ার আগে টেন্ডার আহ্বান করেননি। তিনি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. হারুন-অর-রশিদের কাছে চার্জ দিয়ে অবসরে যান। এখন ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
যশোর সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, সাবেক তত্ত্বাবধায়কের অবসরে যাওয়া এবং নতুন তত্ত্বাবধায়কের যোগদানে বিলম্বের কারণে টেন্ডার আহ্বানে দেরি হচ্ছে। শিঘ্রই নতুন তত্ত্বাবধায়ক যোগ দিবেন। তিনি এলে এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করা হবে। তখন ওষুধ সংকট কেটে যাবে।